খাদ্য লবণ বা সোডিয়াম ক্লোরাইডের গঠন
সূচীপত্র দেখতে ক্লিক করুন
show
প্রতিদিন খাবারের সঙ্গে যে লবণ আমরা খাই তাই খাদ্য লবন। এর রাসায়নিক নাম সোডিয়াম ক্লোরাইড। খাদ্য লবনের একটি অণুতে একটি সোডিয়াম পরমাণু এবং একটি ক্লোরিন পরমাণু থাকে।
খাদ্য লবণ বা সোডিয়াম ক্লোরাইডের প্রকৃতি
- খাদ্য লবণের প্রকৃতির নিচে দেওয়া হল
- ক) সোডিয়াম ক্লোরাইড একটি নরমাল লবণ।
- খ) সাধারণ উষ্ণতায় NaCl কঠিন এবং কেলাসিত পদার্থ।
- গ) খাদ্য লবন একটি অজৈব পদার্থ
- ঘ) খাদ্য লবন গন্ধহীন এবং অনুদ্বায়ী পদার্থ।
- ঙ) সোডিয়াম-ক্লোরাইড জলে দ্রাব্য। এর জলীয় দ্রবণে এসিড বা ক্ষারের কোন ধর্ম প্রকাশ পায় না।
- চ) সোডিয়াম ক্লোরাইডের গলনাঙ্ক 160 ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। এবং স্ফুটনাঙ্ক 1465 ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড।
- ছ) এর কেলাসের আকার 6 তল বিশিষ্ট ঘনকের মত।
- জ) সোডিয়াম-ক্লোরাইড একটি তড়িৎযোজী যৌগ, আয়নিত হয়। জলীয় দ্রবণে NaCl অনু সম্পূর্ণ বিয়োজিত হয়ে Na+ এবং Cl– আয়নে পরিণত হয়।
কার্বন: সংকেত, যোজনী, পারমাণবিক গুরুত্ব, বহুরূপতা, ব্যবহার
সোডিয়াম ক্লোরাইড বা খাদ্য লবণের ব্যবহার
- সোডিয়াম ক্লোরাইডের ব্যবহার নিচে উল্লেখ করা হলো
- ক) খাদ্য লবন আমাদের খাদ্যের একটি প্রয়োজনীয় উপাদান। দেহের উপাদান হিসেবে এর প্রয়োজন আছে।
- খ) কলেরা রোগীর দেহে জলের ভাগ অনেক কমে যায় বলে লবণ জলের ইনজেকশন দিতে হয়।
- গ) সোডিয়াম-ক্লোরাইড জীবানুনাশক এবং পচন নিবারক, এইজন্য মাছ-মাংস প্রভৃতিতে লবণ মাখিয়ে অনেকদিন পর্যন্ত অবিকৃত রাখা যায়।
- ঘ) হিম মিশ্র প্রস্তুতিতে ব্যবহৃত হয়, বরফের সঙ্গে লবণ মেশালে উষ্ণতা মাইনাস ২০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় নেমে আসে।
- ঙ) চিনা মাটির বাসন পালিশ করতে ব্যবহৃত হয়।
- চ) ধাতব সোডিয়াম, সোডিয়াম কার্বনেট, কস্টিক সোডা, হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড, ক্লোরিন, সোডিয়াম সালফেট প্রভৃতি রাসায়নিক দ্রব্য প্রস্তুতিতে ব্যবহৃত হয়।