পেট্রোল বা গ্যাসোলিন, কেরোসিন এবং মিথিলেটেড স্পিরিট এর প্রকৃতি ও ব্যবহার
পেট্রোল বা গ্যাসোলিনের প্রকৃতি
১. খনিজ তেল হলো কার্বন ও হাইড্রোজেন দ্বারা গঠিত কতগুলি জৈব যৌগের মিশ্রণ। এই জৈব যৌগগুলিকে হাইড্রোকার্বন বলে।
২. খনিজ তেলকে আংশিক পাতন করলে বিভিন্ন উষ্ণতায় বিভিন্ন হাইড্রোকার্বন গুলি পাতিত হয়ে আসে এবং ওদের সংগ্রহ করা হয়। 70 ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড থেকে 120 ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড উষ্ণতার মধ্যে যেসব হাইড্রোকার্বন পাতিত হয়ে পড়ল রূপে জমা হয়, তাই পেট্রোল বা গ্যাসোলিনের নামে পরিচিত।
৩. পেট্রোল হল কতকগুলি তরল হাইড্রোকার্বনের মিশ্রণ।
৪. এটি একটি প্রশম পদার্থ।
৫. পেট্রোল জলে অদ্রাব্য, উদ্বায়ী এবং ধার্য পদার্থ।
৬. পেট্রোলের মধ্যে যেসব হাইড্রোকার্বন থাকে,তাদের মধ্যে কার্বন পরমাণুর সংখ্যা 7 থেকে 10 পর্যন্ত হয়।
৭. পেট্রোলের বিশেষ এক রকম গন্ধ আছে।
৮. পেট্রোল অত্যন্ত ধার্য পদার্থ।
পেট্রোলের ব্যবহার
মোটরগাড়ি ও বিমানের জ্বালানি রূপে, গরম জামা কাপড় ড্রাই ওয়াশ করতে এবং দ্রাবক রূপে ব্যবহৃত হয়।
ব্লিচিং পাউডার : প্রকৃতি ও ব্যবহার
কেরোসিনের প্রকৃতি
ক) খনিজ তেলের আংশিক পাতন এর ফলে দেড়শো ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড থেকে 300 ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড উষ্ণতায় মধ্যে যেসব হাইড্রোকার্বন পাতিত হয়ে আসে, তাদের তরল রূপে সংগ্রহ করা হয়। একেই কেরোসিন বলে।
খ) কেরোসিনের মধ্যে যেসব হাইড্রো কার্বন থাকে, তাদের মধ্যে কার্বন পরমাণুর সংখ্যা 10 থেকে 16 পর্যন্ত হয়।
গ) কেরোসিনের বিশেষ গন্ধ আছে।
ঘ) কেরোসিন হলো বর্ণহীন জৈব তরল
ঙ) কেরোসিন জলে অদ্রাব্য
চ) কেরোসিন একটি দাহ্য পদার্থ।
কেরোসিনের ব্যবহার
আলোক উৎপাদনে, জ্বালানি রূপে, মশা মারার জন্য ডিডিটি ওষুধের দ্রাবক রূপে এবং জৈব পদার্থের দ্রাবক রূপে ব্যবহৃত হয়।
মিথিলেটেড স্পিরিটের প্রকৃতি
95 % ইথাইল অ্যালকোহলের জলীয় দ্রবণকে রেকটিফাইড স্পিরিট বলে।
রেকটিফাইড স্পিরিটকে পানের অযোগ্য করার জন্য এর সঙ্গে মিথাইল অ্যালকোহল, সামান্য পিরিডিন এবং ন্যাপথলিন মিশিয়ে বিষাক্ত করে দেওয়া হয়। এই মিশ্রণকে মিথিলেটেড স্পিরিট বলে। এটি দুর্গন্ধযুক্ত বর্ণহীন জৈব তরল পদার্থ। এর বিষক্রিয়া আছে।
মিথিলেটেড স্পিরিট এর ব্যবহার
জ্বালানি রূপে, বার্নিশ এবং রং প্রস্তুতিতে এবং দ্রাবক রূপে ব্যবহৃত হয়।