মিয়োসিস (কোশ বিভাজন)
এই আলোচনায় আমরা মিয়োসিস কোশ বিভাজন (প্রক্রিয়া) পদ্ধতি মিয়োসিস কোশ বিভাজনের গুরুত্ব ( তাৎপর্য ) সম্বন্ধে বিস্তারিত জানব।
মিয়োসিস এক প্রকার স্বতন্ত্র ধরনের কোষ বিভাজন। এই বিভাজনে ক্রোমোজোমের মাত্র একবারই দ্বিত্বকরণ ঘটে এবং পরে অপত্য ক্রোমোজোম পৃথক হয়ে যায়। অর্থাৎ মিয়োসিসে একবার দ্বিত্বকরনের পরপর দুবার বিভাজন ঘটে। এর ফলে উৎপন্ন চারটি কোষের প্রতিটি ক্রোমোজোম সংখ্যা অর্ধেক হয়ে যায়। কোষের DNAএর পরিমাণ বিশ্লেষণ করলে এই হ্রাস পাওয়া সহজেই প্রতিভাত হয়। যদি DNAএর ডিপ্লয়েড মূল্য 2n হয় তবে দ্বিত্বকরণ পদ্ধতিতে তা হয় 4n এবং মিয়োসিস পদ্ধতির পরে প্রতি কোষের নিউক্লিয়াসে তার সংখ্যা হয় n। মাইটোসিস পদ্ধতিতে প্রজননিক পদ্ধতিতে পদার্থ প্রতি কোষে সাধারনত ধ্রুবক থাকে কিন্তু প্রজননিক প্রকরনই মিয়োসিসের প্রধান বৈশিষ্ট্য।।
মিয়োসিস এর সংজ্ঞা
মিয়োসিস এক ধরনের স্বতন্ত্র কোষ বিভাজন যা জনন অঙ্গের কোষে সংঘটিত হয় এবং যার ফলে উৎপন্ন চারটি কোষের প্রত্যেকটিতে ক্রোমোজোম সংখ্যা অর্ধেক হয়ে যায়। তাই একে রিডাকশন ডিভিশন বলে।
মিয়োসিসের প্রক্রিয়া (বিশ্লেষণ)
মিয়োসিস বিশ্লেষণ প্রধানত দুটি প্রক্রিয়াতে ভাগ করা যায় যথা — ১। ইন্টারফেজ এবং ২। মিয়োটিক বিভাজন
ইন্টারফেজ
একটি ইন্টারফেস দশার অব্যবহিত মিয়োসিস শুরু হয়। মাইটোসিসের ইন্টারফেজ এর সাথে মিয়োসিস ইন্টারফেজের খুব বেশি পার্থক্য নেই। প্রিমিয়োটিক ইন্টারফেজে DNAর দ্বিত্বকরণ S পিরিয়ডে ঘটে।
মিয়োটিক বিভাজন
মিয়োসিস বিভাজনকে বর্ণনার সুবিধার্থে দুটি ভাগে ভাগ করা যায়। যথা প্রথম মিয়োটিক বিভাজন এবং দ্বিতীয় মিয়োটিক বিভাজন।
বিজ্ঞানী ফ্লেমিং প্রথম বিভাজন কে হেটারোটাইপিক এবং দ্বিতীয় বিভাজনকে মাইটোসিসের নেয় সমবিভাজন বলে বর্ণনা করেছেন।
প্রথম মায়োটিক বিভাজনের প্রোফেজ দশা অত্যন্ত দীর্ঘস্থায়ী এবং এই দশায় সমসংস্থ ক্রোমোজোমগুলি সন্নিকটে অবস্থান করে এবং ওদের মধ্যে বংশগতির বাহক জিনের বিনিময় ঘটে। মায়োটিক দশার বিভিন্ন পর্যায়গুলি নিম্নরূপ
প্রথম মিয়োটিক বিভাজন: বিস্তারিত আলোচনা করতে এবং সহজ ভাবে বুঝতে এটিকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে যথা প্রথম ফেজ এবং দ্বিতীয় ফেজ।
মিয়োসিসের প্রথম বিভাজন
প্রথম প্রফেজ:
প্রিলেপটোনিমা:
এটি প্রোফেজের প্রারম্ভিক দশা। ক্রোমোজোমগুলি এত সূক্ষ্ম ও পাতলা দৃশ্যমান হয় না। হেটারোপিকনটিক বলে যৌন ক্রোমোজোম ঘনবস্তু হিসেবে দেখা যেতে পারে।
লেপটোটিন বা লেফটোনিমা:
বৈশিষ্ট্য
- ১ নিউক্লিয়াসে জলীয় অংশ কমে যাওয়ায় এবং নিউক্লিয় জালিকা খুলে যাওয়ায় সূত্রবত ক্রোমোজোম দৃশ্যমান হয়।
- ২ ক্রোমোজোমগুলি সরু লম্বা দেখায় এবং জোড়ায় জোড়ায় অবস্থান করে। এদের সমসংস্থ ক্রোমোজোম বলে।
- ৩ ক্রোমোজোম সাধারণত নিউক্লিয়াসের ভেতর ইতস্তত ছড়িয়ে না থেকে বিশেষভাবে সজ্জিত থাকে। ক্রোমোজোমের শেষপ্রান্ত অ্যাস্টারে অবস্থিত সেন্ট্রিওল এর দিকে নিউক্লিয় পর্দার সঙ্গে যুক্ত থাকে, বাকি অংশ গোলাকার হয়ে ভিতরের দিকে অবস্থিত থাকে।এইভাবে সজ্জিত হওয়ায় একে পোলারাইজড ক্রোমোজোম কিংবা ডার্লিংটনের ভাষায় “ফুলের তোড়া” বা “বুকে স্টেজ” বলে।
- ৪ লেপটোটিনের প্রতিটি ক্রোমোজোম দুটি ক্রোমাটিড দিয়ে তৈরি যদিও সাধারণ অণুবীক্ষণ যন্ত্র তা দেখা যায় না।
- ৫ লেপ্টোটিন দশা যতই অগ্রসর হয় ততই ক্রোমোজোম পেচিয়ে কুণ্ডলী কৃত হতে থাকে ফলে ক্রোমোজোম স্থূল সূত্রের আকৃতি লাভ করে।
- ৬ একজোড়া সেন্ট্রিওলের স্থানে দু’জোড়া সেন্ট্রিওল গঠিত হয় এবং তারা দূরে সরে যেতে আরম্ভ করে।
- ৭ সেন্ট্রিওল দুটি দু’পাশে 180° সরে যায় এবং পরস্পর বিপরীত দিকে অবস্থান করে।
জাইগোটিন বা জাইগোনিমা
বৈশিষ্ট্য
- ১ সমসংস্থ ক্রোমোজোম আকর্ষণ এর ফলে পাশাপাশি আসে এবং নিজেদের মধ্যে জোড় বাঁধে। এই জোড় বাঁধা শুধুমাত্র সমসংস্থ ক্রোমোজোমের সমসংস্থ অংশেই হয়। যদি কোন অংশ সমসংস্থ না হয়, তবে এসেই অংশও জোড় বাধে না। জোর বাধাকে সিনাপসিস এবং জোড় বাধা ক্রোমোজোমদ্বয়কে বাইভ্যালেন্ট অবস্থা বলে।
- ২ এই জোড় বাধার ব্যাপারটি ক্রোমোজোমের কয়েকটি নির্দিষ্ট অংশ থেকে শুরু করে সমস্ত অংশে বিস্তারিত হয়।
- ৩ দুটি সমসংস্থ ক্রোমোজোম এর কিছু স্থানে সাইন্যাপ্টোনেমাল কমপ্লেক্স গঠিত হয়। এই কমপ্লেক্সটি জোড় বাধা অ্যালিলিক জিনের পুন সংযুক্তি ঘটানোর জন্য ভূমিকা গ্রহণ করে।
প্যাকিটিন বা প্যাকিনিমা
বৈশিষ্ট্য
- ১ ক্রোমোজোমের জোড় বাধা সম্পূর্ণ হয়ে যায়।
- ২ ক্রোমোজোম দীর্ঘ অক্ষ বরাবর সংকুচিত হয় ফলে ক্রোমোজোম গুলি ও মোটা দেখায়।
- ৩ এই অবস্থায় প্রতিটি ক্রোমোজোমে দুটি অপত্য ক্রোমাটিড দৃশ্যমান হয়, ফলে প্রতিটি বাইভ্যালেন্ট এখন টেট্রাড রূপে গণ্য হয়।
- ৪ প্রোফেজ এর প্যাকিটিন দশা সর্বাপেক্ষা দীর্ঘস্থায়ী; এমনকি এই অবস্থায় কয়েক দিন, কয়েক সপ্তাহ বা কয়েক বছর পর্যন্ত থাকতে পারে।
- ৫ নিউক্লিওলাসটি এই অবস্থায়ও নির্দিষ্ট ক্রোমোজোমের সঙ্গে যুক্ত থাকে।
ডিপ্লোটিন বা ডিপ্লোনিমা
বৈশিষ্ট্য
- ১ বাইভ্যালেন্ট যে মুহূর্তে টেট্রাডে পরিণত হয়, সেই মুহূর্ত হতে সমসংস্থ ক্রোমোজোমের মধ্যকার আকর্ষণ বিকর্ষণে পরিণত হয়। আকর্ষণ বল শুধুমাত্র সিস্টার ক্রোমাটিডের মধ্যে বর্তমান থাকে। ফলে ক্রোমোজোম দুদিকে সরে যেতে থাকে।পরস্পরের কাছ থেকে দূরে সরে যাওয়ার সময় বিকর্ষণ টানে ক্রোমোজোমের পরস্পর জরানো ক্রোমাটিড গুলি এক বা একাধিক স্থানে ভেঙে যায়।একটি ক্রোমাটিডের ভগ্নাংশ অপর ক্রোমোজোমের একই স্থানে ভগ্ন একটি ক্রোমাটিড অংশের সঙ্গে যুক্ত হয়। ফলে দুটি ক্রোমোজোমের ক্রোমাটিন অংশের বিনিময় হয়। এই প্রক্রিয়াকে ক্রসিংওভার বলে। ক্রোমাটিড এর অংশের বিনিময় এর ফলে গুণগত বৈশিষ্ট্য এর বিনিময় হয়।
- ২ এই অবস্থায়শেষ ভাগে ক্রোমোজোম গুলি আরো ক্ষুদ্র ও স্থূল হয় এবং নিউক্লিওলাসটি ধীরে ধীরে ছোট হতে থাকে।
ডায়াকাইনেসিস
বৈশিষ্ট্য
- ১ ঘূর্ণন এবং প্রান্তীয় গমন যদিও ডিপ্লোটিন এ শুরু হয়, তথাপি ডায়াকাইনেসিস দশার শেষ পর্যন্ত চলতে থাকে।
- ২ এই দশার প্রথমে নিউক্লিওলাস এবং শেষে নিউক্লিয় পর্দা সম্পূর্ণ অদৃশ্য হয়ে যায়। ক্রোমোজোম আরো স্থল ও ক্ষুদ্র হয়।
প্রথম মেটাফেজ
বৈশিষ্ট্য
- ১ সেন্ট্রিওল দুটি 180° সরে যায় এবং এদের মধ্যে স্পিন্ডল সৃষ্টি হয়। স্পিন্ডল নিউক্লিয়াস, সাইটোপ্লাজম অথবা ওভারি থেকে তৈরি হয়।
- ২ ক্রোমোজোম স্পিন্ডলের মধ্যরেখা বা নিরক্ষীয় অঞ্চল বরাবর সজ্জিত হয়। একজোড়া সমসংস্থ ক্রোমোজোমের সেন্ট্রোমিয়ার ইকুয়েটর থেকে দূরত্বে অবস্থান করে।
- ৩ দুটি ক্রোমোজোমের ক্রসিং ওভার সৃষ্ট সিস্টার ক্রোমাটিড অংশ পরস্পরের সঙ্গে শিথিলভাবে লেগে থাকে।
প্রথম অ্যানাফেজ
বৈশিষ্ট্য
- ১ প্রতিটি সমসংস্থ ক্রোমোজোমের সিস্টার ক্রোমাটিড দুটি একটি সেন্ট্রোমিয়ার দ্বারা যুক্ত থাকে এবং নির্দিষ্ট মেরুর দিকে চলতে থাকে।
- ২ ছোট ক্রোমোজোম গুলি এর দ্রুত এবং লম্বা ক্রোমোজোম গুলি ধীরে ধীরে পৃথককরণ ঘটে। এনাফেজ দশার প্রতিটি ক্রোমোজোম মেরুর দিকে চলতে থাকে। এই চলনকে ক্রোমোজোমের অ্যানাফেজ চলন বলে। যেহেতু প্রতিটি ক্রোমোজোমের সেন্ট্রোমিয়ার গুলি অনুনালিকা সঙ্গে যুক্ত সেহেতু অনুনালিকা সংকোচনের ফলে সেন্ট্রোমিয়ার টি ক্রোমোজোমের অগ্রবর্তী প্রান্তে স্থাপিত হয়।ক্রোমোজোমের সেন্ট্রোমিয়ার এর অবস্থান অনুযায়ী ক্রোমোজোম গুলি V, J অথবা I আকৃতির হয়।
প্রথম টেলোফেজ
বৈশিষ্ট্য
- ১ ক্রোমোজোম মেরু দেশ এর নিকটবর্তী হলে নিউক্লিয় পর্দার পুনর্বিন্যাস ঘাটে।
- ২ নিউক্লিওলাস পুনর্গঠিত হয়।
- ৩ ক্রোমোজোমের কুণ্ডলী খুলে যায়, হলে এটি লম্বা ও ক্ষীণকায় হয়।
- ৪ নিউক্লিয়াস জল শোষণ করলে ক্রোমোজোম অদৃশ্য হয়।
মিয়োসিস এর দ্বিতীয় বিভাজন
মিয়োসিস এর দ্বিতীয় বিভাজন মাইটোসিসের মত সমবিভাজন হয়ে থাকে।
দ্বিতীয় প্রোফেজ
বৈশিষ্ট্য
- ১ ডিহাইড্রেশনের জন্য প্রথম তলা পেজে অদৃশ্য ক্রোমোজোম আবার দৃশ্যমান হয়।
- ২ ক্রোমোজোম দুটি ক্রোমাটিড দ্বারা গঠিত। এরা একক ভাবে থাকে, জোড়ায় থাকে না।
- এই দশায় মেটাসেন্ট্রিক ক্রোমোজোম ভV আকৃতির, সাবমেটাসেন্ট্রিক ক্রোমোজোম বৃহৎ L আকৃতির, এবং অ্যাক্রোসেন্ট্রিক ক্রোমোজোম J আকৃতির ও টিলোসেন্ত্রিক ক্রোমোজোম রডের ন্যায় দেখতে হয়।
দ্বিতীয় মেটাফেজ
বৈশিষ্ট্য
- ১ দুটি সেন্ট্রিওল এর মধ্য দেশে স্পিন্ডল তৈরি হয়।
- ২ সেন্ট্রোমিয়ার গুলি ইকুয়েটর অঞ্চল বরাবর সজ্জিত হয়।
দ্বিতীয় অ্যানাফেজ
বৈশিষ্ট্য
- ১ সেন্ট্রোমিয়ার লম্বালম্বিভাবে দু’ভাগে ভাগ হয়।
- ২ ক্রোমাটিড পৃথক হয়ে যায় এবং দুটি মেরুর দিকে চালিত হয়।
- দ্বিতীয় টেলোফেজ
- ১ ক্রোমাটিড গুলো বিপরীত মেরুতে পৌঁছায় এবং তখন ওদের ক্রোমোজোম বলে।
- ২ নিউক্লিয় পর্দা ও নিউক্লিওলাসের পুনরাবির্ভাব ঘটে।
- ৩ নিউক্লিয়াস জল সংগ্রহ করলে অপত্য ক্রোমোজোম অদৃশ্য হয়ে যায়।
সাইটোকাইনেসিস
বৈশিষ্ট্য
সাইটোপ্লাজম বিভক্ত হয় এবং মোট চারটি অপত্য কোষ উৎপন্ন করে। এ ক্ষেত্রে প্রতিটি কোষের ক্রোমোজোমের সংখ্যা সাধারন কোষের ক্রোমোজোম সংখ্যা অর্ধেক বা হ্যাপ্লয়েড হয়।এই কষে কিছু সংখ্যক ক্রোমোজোম জনিতার বৈশিষ্ট্যযুক্ত এবং কিছু পুনঃসংযুক্তি দ্বারা সৃষ্ট হয়।
মিয়োসিসের গুরুত্ব / প্রয়োজনীয়তা / ভূমিকা
জীবের বংশ বিস্তারের পিছনে মিয়োসিসের গুরুত্ব অপরিসীম।
- ১ শুক্রাশয় ও ডিম্বাশয় হতে যে জননকোষ শুক্রাণু এবং ডিম্বাণু তৈরি হয় তাদের ক্রোমোজোম সংখ্যা হ্যাপ্লয়েড কিন্তু যখন শুক্রাণু ও ডিম্বাণুর মিলনে জাইগোট তৈরি হয় তখন জাইগোটে ক্রোমোজোম সংখ্যা আবার ডিপ্লয়েড হয়।এভাবে মিয়োসিস বিভাজন এর মাধ্যমে আল্টার্নেশন অফ জেনারেশন বা জনুক্রম হ্যাপ্লয়েড এবং ডিপ্লয়েড দশার পরিবর্তন চক্রাকারে ঘটে।
- ২ জীব কোষের ক্রোমোজোম সংখ্যা নির্দিষ্ট এবং ধ্রুবক থাকে মিয়োসিস এর মাধ্যমে।
- ৩ সমসংস্থ ক্রোমোজোম ননসিস্টার ক্রোমাটিড এর মধ্যে ক্রসিং ওভার হওয়ার ফলে জিনের পূর্ণঃসংযুক্তি ঘটে এবং প্রজাতির মধ্যে প্রজননিক প্রকরণ ঘটে। এই প্রকরণে বিবর্তনের মূল বুনিয়াদ। এভাবেই মিয়োসিসের তাৎপর্য আমদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।
মাইটোসিস ও মিয়োসিসের পার্থক্য
দুই রকম বিভাজন এর মাধ্যমেই কোষের বিস্তার লাভ হয়। কিন্তু মাইটোসিস ও মিয়োসিসের পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়।
মাইটোসিস ও মিয়োসিসের পার্থক্য নিম্নরূপ
মাইটোসিস | মিয়োসিস |
মাইটোসিস দেহকোষে সংঘটিত হয়। | মিয়োসিস জনন কোষ তৈরীর সময় হয়। |
একবার ডিএনএ প্রতিলিপি গঠনের পরেই ক্রোমোজোম এবং কোষ বিভাজিত হয় ফলে একটি ডিপ্লয়েড কোষ থেকে দুটি ডিপ্লয়েড কোষ উৎপন্ন হয়। | একবার ডিএনএ প্রতিলিপিকরণ এর পরে পরপর দুবার ক্রোমোজোম ও কোষ বিভাজিত হয়ে একটি ডিপ্লয়েড কোষ থেকে চারটি হ্যাপ্লয়েড কোষ উৎপন্ন হয়। |
মাইটোসিস বিভাজনের এস দশায় ডিএনএ প্রতিলিপিকরণ হয়ে থাকে। | মিয়োসিস বিভাজন শুরু হবার আগেই প্রিমিয়োটিক দশায় ডিএনএ প্রতিলিপিকরণ করে। |
মাইটোসিসের সময়ে সমসংস্থ ক্রোমোজোম এর জোড়া তৈরি হয় না। | মিয়োসিস বিভাজনে সমসংস্থ ক্রোমোজোম জোড়া বেঁধে থাকে এবং এদের মধ্যে ক্রসিং ওভার হয়ে থাকে। |
মাইটোসিস বিভাজন এক থেকে দুই ঘণ্টা স্থায়ী হয়। | মিয়োসিস বিভাজন পুরুষদের ক্ষেত্রে কয়েক ঘণ্টা এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে কয়েক বছর স্থায়ী হতে পারে। |
মাইটোসিস বিভাজনে জিন বস্তুর সমবন্টন ঘটে থাকে। | মিয়োসিস বিভাজন এর শ্রেষ্ঠ কোষের ডিএনএ রং পরিমাণে সমতা থাকে না। |
মাইটোসিস দ্বারা দেহের বৃদ্ধি ঘটে থাকে। | জনন কোষের সৃষ্টি হয়ে থাকে মিয়োসিস বিভাজনের দ্বারাই। |
ইমেজ সোর্স ঃ pixabay